নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরীক্ষা করে ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল বলে জেনেছেন। তবে কী ধরনের সমস্যা ছিল, সেটা তাঁরা প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানাবেন। অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ জনের মৃত্যু এবং অনেকের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল হাসানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের তদন্তদল গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকায় এসে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি খতিয়ে দেখে।
লঞ্চের ইঞ্জিন রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তদন্ত করছে তারা। কমিটির সদস্যরা লঞ্চটি পরীক্ষা করার সময় অন্য লঞ্চের চালকদেরও সহায়তা নেন। তাঁদের একজন জানান, ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের হেডের ফায়ারিং কর্ডে সমস্যা দেখা গেছে। সিলিন্ডারের হেডে প্রচুর হিট হয়,
আর ওভার হিটের সময় সেখান থেকে কোনোভাবে আগুনের ফুলকি বের হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যা দেখার জন্য ড্রাইভার-গ্রিজারদের সেখানে থাকার কথা। মিটারের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমেও সমস্যা বোঝা সম্ভব। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সামাধান করতে না পারলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।